বর্ষার এই বৃষ্টি প্রচণ্ড গরম থেকে শান্তি এনে দিলেও স্বস্তিতে নেই নগরবাসী। এতে সড়কে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জলজটের কারণে সৃষ্ট যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

বিআরটি প্রকল্পের ব্যর্থতায় খানাখন্দে ভরা জয়দেবপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর সড়কে মঙ্গলবার ভোর থেকে জলজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে ওই সড়কে গাড়ি চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ঢাকার সঙ্গে গাড়ি যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকেই দ্বিতীয় দিনের মতো যানচলাচলে স্থবির অবস্থা চলছে।

বুধবার ভোর থেকেই রাজধানীতে ছিল যানবাহনের জটলা। গাজীপুরের টঙ্গীতে লাগা এই জট ছড়িয়েছে গোটা রাজধানীতে। যার শিকার হয়েছে লাখ লাখ নগরবাসী। এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীতে যানজটের কারণে দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টা লাগে, এক ঘণ্টার রাস্তা তিন ঘণ্টা লেগেছে।

বুধবার সকাল থেকেই টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, তেজগাঁও রামপুরা মগবাজার মালিবাগ, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ পোস্তাগোলা ও ধানমন্ডির প্রধান প্রধান সড়কে গাড়ির এমন অস্বাভাবিক প্যাঁচ লেগেছে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের সমস্যার কারণে এয়ারপোর্টে রোড হয়ে বনানী, মহাখালী, সাতরাস্তা ও কারওয়ান বাজার হয়ে পান্থপথে পৌঁছেছে যানজট। একই যানজট জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া উত্তরা থেকে যানজট কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ইসিবি চত্ত্বর থেকে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ঠেকেছে।

সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। নিকট অতীতে এমন ভয়াবহ যানজটের শিকার হতে হয়নি নগরবাসীকে। যারাই ঘর থেকে বেরিয়েছেন, তারাই বর্ণনা দিয়েছেন- কতটা দুঃসহ ছিল এই অচলাবস্থা।

মালিবাগের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের অফিস যমুনা ফিউচার পার্কে।দুপুরের পর বাসা থেকে বের হয়ে দুই ঘন্টায়ও তিনি বাড্ডা পার হতে পারেননি। ধীরে ধীরে এগিয়ে নতুন বাজার পার হওয়ার পর হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছান তিনি।

যানজটের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানাচ্ছেন, সকাল থেকে সৃষ্ট এই যানজটে থেমে থেমেও গাড়ি চলছে না। এক জায়গায় ১-২ ঘণ্টা ধরে গাড়ি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে থাকছে। অনেকেই সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার যানজটের চিত্র তুলে ধরে পোস্ট দিচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বিমানবন্দর সড়কের যাত্রীরা।